খেলায় হেরে গেছেন মমতা দিদি : নির্বাচনী কর্মসূচীতে বললেন জেপি নাড্ডা

14th April 2021 12:07 am বর্ধমান
খেলায় হেরে গেছেন মমতা দিদি : নির্বাচনী কর্মসূচীতে বললেন জেপি নাড্ডা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) :  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দশ বছরের রাজত্বে প্রশাসনে রাজনীতিকরন ও অপরাধীকরণ করা হয়েছে।তাই বাংলার মানুষ পথ নেমে পড়তেই মমতা বন্দ্যোপাধায়ের খেলার হেরে যাওয়া খেলোয়াড়ের মতো অবস্থা তৈরি হয়েছে।মঙ্গলবার পূর্ব বর্ধমানে একাধীক নির্বাচনী প্রচার কর্মসূচীতে যোগ দিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমোকে এইভাবেই কটাক্ষ করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা।এদিন জেলার খণ্ডঘোষ ও কালনা বিধানসভা এলাকার বিজেপি প্রার্থীদের সমর্থনে জে পি নাড্ডা রোড শোয়ে অংশ নেন।প্রার্থীরা ছাড়াও দুই জায়গাতেই রোড শোয়ে বহু বিজেপি কর্মী,সমর্থক ও সাধারণ মানুষ অংশ নেন।যা দেখে স্বয়ং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি সহ জেলা বিজেপি নেতৃত্বে উচ্ছাসে ফেটে পড়েন । 

কালনা বিধানসভার বিজেপি প্রার্থী বিশ্বজিৎ কুণ্ডুর সমর্থনে এদিন বর্ণাঢ্য রোড হয় কালনায় । জে পি নাড্ডার এদিন সকাল ১০ টায় রোড শোয়ে অংশ নেওয়ার কথা ছিল ।কিন্তু তাঁর  হেলিক্প্টার বেলা দেড়টায় কালনার অঘোরনাথ স্টেডিয়ামের মাঠে অবতরন করে । তার পর তিনি রোড শোয়ে যোগ দেন । রোড শো শেষ করে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে এদিন নাড্ডাজী রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার প্রশ্নে তৃণমূল সরকারকে কাঠগড়ায় তোলেন । পাশাপাশি রাজ্যের প্রশাসনকেও কার্যত এদিন তিনি  তুলোধনা করেন ।মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে নাড্ডাজী বলেন    
, এখন খেলায় হেরে যাওয়া খেলোয়াড়দের মতো অবস্থা হয়য়েছে  মমতা দিদির।সেই কারণে তিনি কখনও নির্বাচণ কমিশন,আবার কখনও বিজেপির দোষ দেখছেন। বিজেপিকে দোষী  সব্যস্ত করছেন । অথচ মমতা দিদি নিজের  দশ বছরের শাসনে তোলাবাজি
,তুষ্টিকরণ,কাটমানি,গরু-বালির সিন্ডিকেট চলেছে ।বেকারদের কর্মসংস্থানেরও ব্যবস্থা হয়নি ।এমনকি নারীদের প্রতিও অত্যাচার হয়েছে । রাজ্যের প্রশাসনে  রাজনীতিকরন ও অপরাধীকরণ করা হয়েছে।এই সবের জন্যই বাংলার মানুষ এবার রাজনৈতিক ভাবেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সবক শেখানোর জন্য রাস্তায় নেমে পড়েছেন বলে নড্ডাজী কালনার রাজনৈতিক কর্মসূচী থেকে দাবি করেন। অপর দিকে পূর্ব বর্ধমানের সেহারাবাজারের রোড শোয়ে যোগ দিয়েও বিজেপির সর্বভারতীর সভাপতি তৃণমূলের কড়া সমালোচনা করেন । রায়নার বিজেপি প্রার্থী মানিক রায় ও খণ্ডঘোষের বিজেপি প্রার্থী  বিজন মন্ডল কে সঙ্গে নিয়ে রোড করেন জে পি নাড্ডা । রোড শো শেষে নাড্ডাজী বলেন , 
এতদিন এই রাজ্যের সরকার মা মাটি মানুষের  সবাইকে অবহেলা করেছে। তারা আয়ূস্মান ভারত প্রকল্পের সুবিধাও পাননি।এই রাজত্বে সিন্ডিকেট রাজ; তোলাবাজি; বালির সিন্ডিকেট ; চালচুরি ; তোষণের রাজত্ব চলেছে। সেই কারণে এবারের বিধানসভা নির্বাচনে এই অবস্থা বদলের ও রাজ্যবাসীর ভাগ্য বদলের লড়াই চলছে।বাংলায় বিজেপি ক্ষমতায় আসছেই বলে জে পি নাড্ডা রোড শো থেকে ঘোষনা করেন । 





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।